সন্তানাদি:
জোলির সন্তানাদি
|
ম্যাডক্স শিভান
জোলি-পিট
(জন্ম: ৫ আগস্ট ২০০১; কম্বোডিয়া। দত্তকগ্রহণ: ১০ মার্চ ২০০২) প্যাক্স থিয়েন জোলি-পিট (জন্ম: ২৯ নভেম্বর ২০০৩; ভিয়েতনাম। দত্তকগ্রহণ: ১৫ মার্চ ২০০৭) জাহারা মার্লে জোলি-পিট (জন্ম: ৮ জানুয়ারি ২০০৫; ইথিওপিয়া; দত্তকগ্রহণ: ৬ জুলাই ২০০৬) শিলোহ নোভেল জোলি-পিট (জন্ম: ২৭ মে ২০০৬; সোকপমুন্ড, নামিবিয়া) নক্স লিওন জোলি-পিট (জন্ম: ১২ জুলাই ২০০৮; নিস, ফ্রান্স) ভিভিয়েন মার্শেলিন জোলি-পিট (জন্ম: ১২ জুলাই ২০০৮; নিস, ফ্রান্স) |
ছয়মাস বয়সী জাহারা মার্লেকে জোলি দত্তক নেন ৬ জুলাই ২০০৫। তার জন্ম হয়েছিলো ৮ জানুয়ারি ২০০৫। জাহারার পূর্ব নাম ছিলো ‘ইয়েম্সর্যাচ’, যা তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের রাখা, কিন্তু এতিমাখানায় এসে তাঁর বৈধ নাম হয় টিনা আদম। আদ্দিস আবাবার ওয়াইড হরাইজন্স ফর চিলড্রেন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন। ২০০৭ সালে, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সে অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয় যে, জাহারার জন্মদাত্রী মা মেন্টেওয়ারিব ডোয়াইট এখনো জীবিত, এবং তিনি তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চান। অবশ্য জোলি এই খবর অস্বীকার করে বলেন, জাহারার ‘খুবই সৌভাগ্য’ যে, সে জোলির কাছে দত্তক হয়ে এসেছে।
ব্র্যাড পিট জাহারাকে দত্তক নেওয়ার আইনগত কাজ সমাধা করার সময় জোলির সাথে ছিলেন;পরে জোলি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, জোলি ও পিট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা দুজনে মিলেই জাহারাকে দত্তক নেবেন।১৯ জানুয়ারি ২০০৬-এ পিটের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় একজন বিচারক আইনগতভাবে জোলির দুই সন্তানকে দত্তক নেওয়ার জন্য পিটের আবেদন মঞ্জুর করেন। তখন থেকেই তাঁদের নামের শেষাংশ ‘জোলি-পিট’-এ পরিবর্তিত হয়।
২৭ মে ২০০৬-এ নামিবিয়ার সোকপমুন্ডে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জোলির মেয়ে শিলোহ নোভেলের জন্ম হয়। জোলি ও পিটের সদ্যজন্মজাত কন্যা যে নামিবিয়ার নাগরিকত্বধারী, গণমাধ্যমের কাছে পিট তা নিশ্চিত করেন।যেহেতু শিলোহের প্রথম ছবিটি গণমাধ্যমের কাছে যথেষ্ট মূল্যবান, তাই পাপারাৎসিদের কাছে চলে যাবার আগেই জোলি তাঁর মেয়ের প্রথম ছবিটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান গেটি ইমেজেসের মাধ্যমে গণমাধ্যমে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ছবিটির উত্তর আমেরিকা স্বত্ত্বের জন্য পিপল ম্যাগাজিন ৪১ লক্ষ মার্কিন ডলার, এবং ব্রিটিশ ম্যাগাজিন হ্যালো! বিশ্বব্যাপী স্বত্ত্বের জন্য প্রায় ৩৫ লক্ষ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে।ছবিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত এ বিপুল অর্থ জোলি-পিট দম্পতি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন।
২০০৭-এর ১৫ মার্চ জোলি ভিয়েতনাম থেকে তিন বছর বয়সী প্যাক্স থিয়েনকে দত্তক নেন। তাঁর জন্ম হয়েছিলো ২৯ নভেম্বর ২০০৩-এ, এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে, যেখানে তাঁর প্রথমে নামকরণ করা হয় ফ্যাম ক্যাং স্যাং। হো চি মিন সিটির ট্যাম বিন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন।জোলি ছেলেটির নামের প্রথম অংশ রাখেন ‘প্যাক্স’, কারণ মৃত্যুর পূর্বে প্যাক্সের মা এই নামটি রাখার অনুরোধ করে গিয়েছিলেন।
ট্যাবলয়েডগুলোতে বেশ কয়েক মাসের গুজবের পর ২০০৮ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে জোলি নিশ্চিত করেন যে, সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি এবার একটি যমজ সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। অবশেষে ১২ জুলাই ২০০৮-এ ফ্রান্সের নিসের লেনভাল হাসপাতালে তিনি নক্স লিওন নামে এক পুত্র ও ভিভিয়েন মার্শেলিন নামে এক কন্যার জন্ম দেন। যৌথভাবে পিপল ও হ্যালো! ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করা এই যমজের প্রথম ছবিটির মূল্যমান ছিলো ১ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার—এখন পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০০৯) তারকাদের ছবির মধ্যে সবচেয়ে দামী। এখানেও বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ দাতব্য সংগঠন জোলি-পিট ফাউন্ডেশনে দান করে দেওয়া হয়।
গণমাধ্যমে উপস্থিতি
২০০৫ সালে ওয়াশিংটন,
ডি.সি.-তে জোলি
অল্প বয়স
থেকেই জোলিকে
তাঁর বিখ্যাত
বাবা ভটের
বদৌলতে গণমাধ্যমে
দেখা যেতো।
সাত বছর
বয়সে জোলি
যে লুকিন’
টু গেট আউট
চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাঁর সহ-চিত্রনাট্যকার ও
মূল অভিনেতা
ছিলেন তাঁর
বাবা। ১৯৮৬
ও ১৯৮৮
সালে, তাঁর
কিশোরী বয়সেই
দুইবার তাঁর
বাবার সাথে
একাডেমি পুরস্কার
প্রদান অনুষ্ঠানে
অংশ নিয়েছিলেন।
যদিও যখন
জোলি তাঁর
অভিনয় জীবন
শুরু করেন,
তখন মঞ্চে
তিনি ‘ভট’
নামটি ব্যবহার
করবেন না
বলে সিদ্ধান্ত
নেন, কারণ
তিনি অভিনেত্রী
হিসেবে নিজের
পরিচয় নিজেই
তৈরি করতে
চেয়েছিলেন। তাঁর
পেশাজীবনের প্রথম বছরেও কিশোরী বয়সে
তাঁর ‘পাহাড়ে
মেয়ে’ ধরণের
ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নিয়ে
বা এবিষয়ে
কথা বলতে
তিনি কখনো
অপ্রস্তুত বা লজ্জাবোধ করেননি। ২০০০
সালে একাডেমি
পুরস্কার প্রদান
অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে জোলি ঘোষণা
দেন, “আমি
বর্তমানে আমার
ভাইয়ের প্রেমে
মজে আছি”,
সেই সাথে
সেই রাতে
তাঁর ভাইয়ের
প্রতি তাঁর
খুব মত্ততার
মতো আচরণ
প্রকাশ পায়।
এর প্রেক্ষিতে
গণমাধ্যমগুলো জোলির ভাই জেমস হ্যাভেনের
সাথে জোলির
অজাচারমূলক সম্পর্ক আছে বলে প্রচার
শুরু করে।
জোলি দৃঢ়তার
সাথে এই
গুজবকে প্রত্যাখ্যান
করেন এবং
পরে জোলি
ও জোলির
ভাই এক
যৌথ সাক্ষাৎকারে ব্যাপারটি
ব্যাখ্যা করে
বলেন যে,
তাঁদের মা-বাবার বিচ্ছেদের
পর তাঁরা
একজন অপরজনের
ওপর খুব
বেশি নির্ভরশীল
হয়ে পড়েন,
কিন্তু তা
ছিলো মানসিক;
জোলি সেই
অর্থেই কথাটি
বলেছিলেন।পেশাজীবনের শুরু থেকেই জোলির কোনো মুখপাত্র বা এজেন্ট নেই। নিজের জীবন সম্পর্কে খোলামেলাভাবে বিভিন্ন রকমের আলোচনা করা, সাক্ষাৎকার দেওয়া, এমনকি বিডিএসএম-এর প্রতি তাঁর আগ্রহ ব্যক্ত করা–এসব তাঁকে খুব দ্রুত গণমাধ্যমের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। একবার তিনি দাবি করেছিলেন যে, “তিনি তাঁর এক নারী ভক্তের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চান”। সেই সাথে সবাইকে জানিয়ে বিলি বব থর্নটনকে বিয়ে করা, মানবতার প্রচার ও বিশ্বব্যাপী মানবতার সপক্ষে কথা বলার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। ইউএনএইচসিআর-এর একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মর্যাদা পাবার পর তিনি তাঁর তারকা ব্যক্তিত্বকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে মানবতার সপক্ষে কাজ করার প্রচারে ব্যবহার করা শুরু করেন। ২০০৪ সাল থেকে জোলি উড়োজাহাজ চালনা শিক্ষা করা শুরু করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স আছে (ইন্সট্রুমেন্টাল রেটিংসহ), এবং তিনি একটি সাইরাস এসআর২২ উড়োজাহাজের মালিক। গণমাধ্যমে প্রায়ই বলা হয় যে, তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী, কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর ছেলেকে বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা দিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেন এটা তাঁর সংস্কৃতির একটি অংশ। জোলি আসলেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কী না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। ২০০০ সালে তাঁকে যখন এবিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি সেসমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা এটিতে বিশ্বাস করে। আমার জন্য কোনো ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।”
ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ
৮১তম একাডেমি
পুরস্কার প্রদান
অনুষ্ঠানে জোলি ও ব্র্যাড পিট
২০০৫-এ
শুরু হওয়া
হলিউড অভিনেতা
ব্র্যাড পিটের
সাথে তাঁর
সম্পর্ক এখন
পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী
সবচেয়ে বেশি
তারকাসংক্রান্ত খবরাখবরের উৎস। ২০০৬
সালের শুরুতে
জোলি যখন
তাঁর গর্ভধারণের
খবর প্রকাশ
করেন, তখন
গণমাধ্যম তাঁদেরকে
নিয়ে বিভিন্নভাবে
অতিশয়োক্তি করা শুরু করে। দ্য
ব্রাঞ্জেলিনা ফিভার’ নিবন্ধে রয়টার্স যেমন
বর্ণনা করেছে
‘পাগলামির চূড়া স্পর্শ’ বলে। গণমাধ্যমের
মনোযোগ থেকে
দূরে থাকতে
শিলোহের জন্মদানের
জন্য এই
জুটি নামিবিয়াকে
বেছে নেন।
শিলোহ-কে
বর্ণনা করা
হয় ‘যিশুখ্রিস্টের
পর এখন
পর্যন্ত সবচেয়ে
আকাঙ্ক্ষিত শিশু হিসেবে’। দুই
বছর পর
জোলির দ্বিতীয়
গর্ভধারণের খবর গণমাধ্যমে আবারো ব্যাপক
আলোচনার সূত্রপাত
করে। ফ্রান্সের
নিসের সমুদ্রতীরবর্তি
যে হাসপাতালে
জোলি দুই
সপ্তাহ অবস্থান
করেছেন, হাসপাতালের
বাইরে সেই
দুই সপ্তাহ
সাংবাদিকরা রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে বাচ্চার
জন্মের খবর
নেবার জন্য
অপেক্ষা করেছেন।বর্তমানে জোলি, বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। কিউ স্কোরের ভাষ্যমতে ২০০০ সালে অস্কার জয়ের পর জোলি পরিচিত ছিলেন ৩১% আমেরিকানের কাছে; পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এসে দেখা যায় ৮১% আমেরিকানের কাছে জোলি এক পরিচিত মুখ। ২০০৬ সালে এসিনিলসেন পরিচালিত বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রশিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ৪২টি আন্তর্জাতিক বাজারে জোলি-পিট জুটি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এন্ডোর্সার।২০০৬ ও ২০০৮ সালে জোলি টাইম ১০০-এ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিলেন।২০০৬ সালে পিপল-এর ‘ওয়ান হানড্রেড মোস্ট বিউটিফুল’ সংখ্যায় তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০০৭-এ ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোরের টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ওয়ান হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট সেক্স সিম্বল্স-এ তিনি সর্বকালের সেরা সেক্স সিম্বল নির্বাচিত হন। দ্য হলিউড রিপোর্টার জোলিকে ২০০৮ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক গ্রহণকারী অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে; প্রতি ছবিতে তাঁর আয় ছিলো ১.৫ কোটি মার্কিন ডলার। সেই সাথে তিনি ২০০৯ সালের ফোর্বস -এর বার্ষিক সেলিব্রেটি ওয়ান হানড্রেড-এ শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২০০৭ ও ২০০৮-এ এই তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিলো যথাক্রমে ১৪ এবং ৩।
জুন ২০০৭-এ
নিউ ইয়র্ক
সিটিতে জোলি;
শরীরে থাকা
বিভিন্ন রকমের
উল্কি দৃশ্যমান।
জোলি তাঁর
বাহ্যিক সৌন্দর্যের
জন্য উল্লেখযোগ্য
পরিমাণ মিডিয়া
কভারেজ পেয়েছেন।
তাঁর শরীরের
সবচেয়ে আকর্ষণীয়
ও উল্লেখযোগ্য
দিক, তাঁর
ঠোঁটজোড়া গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগের কারণ।
যেসকল নারী
কসমেটিক সার্জারির
মাধ্যমে তাঁদের
ঠোঁটের পরিবর্তন
ঘটাতে চান
তাঁদের ক্ষেত্রে
এটাকে তিনি
‘পশ্চিমের সৌন্দর্য্যের বর্তমান স্বর্ণমানদন্ড’ হিসেবে
বর্ণনা করেন। বিভিন্ন
মিডিয়া ম্যাগাজিন
ও সাময়িকীর
পরিচালিত ভোটে
একাধিকবার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুন্দরী’
বা ‘সেক্সি’
নারী হিসেবে
পরিচিতি পেয়েছেন।
এর মধ্যে
রয়েছে, ২০০২
সালে ভোগ, ২০০৪
সালে এসকোয়ার, ২০০৫-এ আমেরিকান
এফএইচএম ও ব্রিটিশ হার্পার’স
বাজার, ২০০৬-এ পিপল
ও হ্যালো!, ২০০৭-এ এম্পায়ার,এবং
২০০৯ সালে
ভ্যানিটি ফেয়ার। জোলির
শরীরে থাকা
বিভিন্ন রকমের
উল্কি প্রায়ই
গণমাধ্যমের মনোযোগের কারণ এবং সাক্ষাৎকারপ্রার্থীদের আলোচনার
বিষয় হয়ে
ওঠে। জোলি
এসম্পর্কে বলেন যে, তিনি চলচ্চিত্রে
নগ্নতার বিপক্ষে
নন, তাঁর
শরীরে থাকা
অনেক রকমের
এই উল্কিগুলো
কোনো নগ্ন
বা ভালোবাসার
দৃশ্যধারণের সময় নির্মাতাকে আরও বেশি
সৃষ্টিশীল করে তোলে। তাঁর
অনেক চলচ্চিত্রেই
উল্কি আড়াল
করার জন্য
বাড়তি রূপসজ্জার
প্রয়োজন হয়েছে।
এখন পর্যন্ত
জানামতে জোলির
শরীরে তেরোটি
উল্কি রয়েছে।
তাঁর শরীরে
থাকা বিভিন্নরকম
উল্কির মধ্যে
আছে, উদ্ধৃতিমূলক,
ভূ-স্থানাঙ্কমূলক,
চিত্রমূলক প্রভৃতি উল্কি। উদ্ধৃতিমূলকের মধ্যে
রয়েছে, মার্কিন
নাট্যকার টেনেসি
উলিয়ামসের রচিত উদ্ধৃতি—“A prayer for the wild at heart, kept in
cages” (হৃদয়ের বন্যতার প্রার্থনা,
খাচায় বদ্ধ
থাকে)।
এই উদ্ধৃতিটি
তিনি পেয়েছিলেন
তাঁর মায়ের
সাথে একত্রে
একটি আরবি
শব্দগুচ্ছের সাথে; শব্দগুচ্ছটি ছিলো: ‘العزيمة’
(করার স্পৃহা)। এছাড়া
আছে ল্যাটিন
প্রবাদ “quod me nutrit me destruit” (যা আমাকে
লালন করে,
তাই আমাকে
ধ্বংস করে),[১১৫] এবং
তাঁর ছেলে
ম্যাডক্স-এর
জন্য একটি
ইয়ান্ত্রা প্রার্থনা যা লেখা হয়েছে
প্রাচীণ খ্মের লিপিতে।[১১৬] এছাড়া তাঁর বাম
হাতের উপরে
ছয়টি ভৌগোলিক
স্থানাঙ্কের উল্লেখ আছে, যা নির্দেশ
করছে তাঁর
ছয় সন্তানের
জন্মস্থান।সময়ের
সাথে সাথে
তিনি তাঁর
অনেক উল্কি
ঢেকে বা
মুছে ফেলেছেন।
এর মধ্যে
আছে তাঁর
সাবেক স্বামী
বিলি বব
থর্নটনের ‘Billy Bob’ (বিলি
বব) নামাঙ্কিত
উল্কিটি। আরও
আছে মৃত্যু
প্রকাশক চৈনিক
অক্ষর (死), এবং তাঁর পেছন
দিকে আঁকা
একটি জানালার
উল্কি। এই
জানালার উল্কিটি
মুছে ফেলার
কারণ ব্যাখ্যা
দিতে গিয়ে
তিনি বলেন,
একসময় বাইরে
বেরোনোর আকাঙ্ক্ষায়
তিনি তাঁর
সম্পূর্ণ সময়টি
জানালার ধারে
বসে কাটিয়ে
দিতে চেয়েছিলেন,
কিন্তু সেখানে
আজ তিনি
প্রায় পুরো
সময়টা বাইরেই
কাটাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment
thanks for your comment